ঢেকিতে পাড় দিয়ে বগুড়া সরকারী মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে
বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব উদ্বোধন করলেন অধ্যক্ষ জোহরা ওয়াহিদা
————
শীতকাল চলে গেলেও শীতের আমেজ কমেনি। আজ বগুড়ার সকাল ছিলো কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের ইমেজ এই বসন্তেও পাওয়া গেছে। বসন্তেও শীতের ইমেজ নিয়ে বগুড়া সরকারী মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব একসাথে করা হল। এখনও আমার গ্রামের বাড়ী চিথুলিয়া বড় বাড়ীতে একটি ঢেকি রাখা আছে। সেখানে বাড়ী ও প্রতিবেশীরা পিঠা করার জন্য চাল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। ঢেকিতে পাড় দিতে দিতে চুম্বলি, সুমরের মাও আরো অনেকেই গীত গাইতো। এখন কেউ বেচে আছে, কেউ মারাগেছে। কিন্তু আমরা সেই ঢেকিটা একটি টিনসেড ঘড়ে রেখে দিয়েছি। ঐতিহ্যকে ভুলিনি।
আজ রোববার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিতা কেটে ও ঢেকিতে পাড়দিয়ে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রফেসর জোহরা ওয়াহিদা রহমান। সাথে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। উৎসবকে ঘিরে কলেজের নতুন পুরাতন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অতিথিরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিল। শিক্ষার্থীরা বাহারি রকমের ফুল দিয়ে মাথা সু-সজ্জিত করে লাল হলুদ শাড়ী পড়ে একে অপরের সেলফি তুলতে দেখা যায়।
উৎসব কমিটির আহবায়ক বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেব দুলাল দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জোহরা ওয়াহিদা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. বেল্লাল হোসেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মকবুল হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, আ.হ ক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সামছুল আলম জয় এবং কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী শামিমা সুমি শাহ প্রমুখ সহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ,শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসব কে ঘিরে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে নানা রকমের পিঠার স্টল বসেছিল। শিক্ষার্থীরা এবং আগত অতিথিবৃন্দরা যার যা পছন্দ মতো পিঠা কিনে এর স্বাদ গ্রহন করছিল।
পিঠা স্টলে ইংরেজি বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, দর্শন বিভাগ, বাংলা বিভাগ, উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ এবং কলেজের কর্মরত স্টাফদের স্টল ছিল। এছাড়াও কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনবায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বাঙ্গালী সাংস্কৃতিযেন মিউজিয়ামে রাখার মত হয়েগেছে। বাঙ্গালী সাংস্কৃতিই আমাদের চেতনা। গ্রাম পর্যায়ে এই চেতনাকে আবারও ফিরে আনার চেষ্টা করতে হবে। তা না হলে আমাদের স্বকিয়তা ধরে রাখা কঠিন হবে।
পিঠা উৎসব এবং বসন্ত উৎসব এখন হয়েগেছে দিবস পালন। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের। বাঙ্গালী মানে বাংলাদেশের নয়, কিংবা ভারতীয়ও নয়। বাংলা ভাষাভাষীদের চেতনা এটি।